কুমিল্লা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো.জামাল নাছের বক্তব্যে বলেন- মনটি ছিল সাধারণ বাঙালী মায়ের চেয়েও কোমল,কিন্তু অন্যায়ের বিপক্ষে অনেকক্ষেত্রে ছিলেন স্বামীর চেয়েও কঠিন। দুঃখ-ক্লেশ সহ্যের পরিমাণ ছিল ধারণাতীত।
কখনও বাঙালীর অবিসংবাদিত নেতার স্ত্রী,কখনও প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী,কখনও রাষ্ট্রপতির স্ত্রী; জীবনের সকল পর্যায়েই তিনি নিঃস্বার্থভাবে জীবন ও যৌবনের শ্রেষ্ঠ সময় কাটিয়েছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সঙ্কটের সঙ্গী হয়ে, জীবনের চালিকা শক্তি হয়ে। আত্মকেন্দ্রিকতা বা আত্মসর্বস্বতা কখনও স্পর্শ করতে পারেনি এই নির্লোভ মহীয়সীকে।
প্রচারবিমুখ এই মহীয়সী কাজ করে গেছেন নীরবে-নিভৃতে। হাসিমুখে অবর্ণনীয় কষ্ট ও যন্ত্রণা সহ্য করে অভূতপূর্ব ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদী এই মহীয়সী। তিনি আর কেউ নন। তিনি হচ্ছেন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব। বঙ্গমাতার ডাকনাম ছিল রেণু। স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী, মহীয়সী এই বঙ্গমাতা।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে নানা আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছার জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ৮ আগস্ট মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টায় বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো.জামাল নাছের নেতৃত্বে বোর্ড অঙ্গনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ,ও বাদ জোহর শিক্ষাবোর্ড জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেনবোর্ডের সচিব প্রফেসর নূর মোহাম্মদ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড.মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান,কলেজ পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম পটোয়ারী, বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর মো. আজহারুল ইসলাম, উপ-পরিচালক (হি: ও নি:) মোহাম্মদ ছানাউল্যাহ, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, উপ- কলেজ পরিদর্শক বিজন কুমার চক্রবর্তী, উপ-বিদ্যালয় পরিদর্শক মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের উপসচিব (প্রশাসন) এ কে এম সাহাবউদ্দিন, উপ-বিদ্যালয় পরিদর্শক মোহাম্মদ জাহিদুল হক, উপসচিব (একাডেমিক) মোহাম্মদ সাফায়েত মিয়া, কর্মচারী সমিতির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক মোঃ জয়নাল আবেদীন,সহকারী পোগ্রামার ও (একান্ত সচিব) সুমন রায়সহ বোর্ডের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page